কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, ইসলামী ফাউন্ডেশনের শেখানো খুতবা আরো দশবার মসজিদে পড়ানো হলে সরকারও থাকবে না, দেশও থাকবে না।
তিনি বলেন, ‘মসজিদে ইসলামী ফাউন্ডেশনের ফতোয়া আর চলবে না। ইসলামী ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান কত বড় পণ্ডিত হয়েছেন- যে তার কথা অনুযায়ী মসজিদে খুতবা পড়তে হবে? ইসলামের সঙ্গে জঙ্গিবাদের কোনো সম্পর্ক নেই। যারা বলে তাদের ইসলাম ও কোরআন সম্পর্কে কোনো জ্ঞান নেই।’
বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
দেশে প্রকৃত জাতীয় ঐক্য গড়ে উঠেনি দাবি করে তিনি বলেন, ‘প্রকৃত জাতীয় ঐক্য না হলে ক্ষমতাসীনরাও মারা পড়বেন, দেশও শেষ হয়ে যাবে। কারণ বাংলাদেশের আকাশ-বাতাস, তরুলতা সবাই জাতীয় ঐক্য চাচ্ছে। দেশের এমন ক্রান্তিকালে জাতীয় ঐক্য না হয়ে জাতীয় বিভক্তি হয়েছে।’
কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘প্রকৃত যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকে আমি সমর্থন করি। কিন্তু তার আগে বর্তমান তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুকে এই মুহূর্তে মন্ত্রীসভা থেকে বেড় করে কারাগারে পাঠিয়ে দিন। আজ মতিয়া চৌধুরী বড় বড় কথা বলে। আমরা কি তার অতীত ইতিহাস জানি না, তারও বিচার দাবি করছি।’
গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গিদের হামলায় নিহত বনানী থানার ওসি সালাউদ্দিন সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘এই ওসি সালাউদ্দিন এমপি-মন্ত্রী ও উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মানতেন না। তার ১৭ বার মরণোত্তর বিচার হওয়া উচিত। আর বনানী থানার ওসি হয়ে গুলশান যাওয়ার কারণে আরো একবার বিচার হওয়া উচিত।’
এ সময় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, গুলশানে জঙ্গি হামলার ঘটনায় ব্যর্থতার দায়ে র্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদকে তার পদ থেকে সরিয়ে দেয়া উচিত। কারণ তিনি নিজেকে অপদার্থ প্রমাণ করেছেন।
ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে দেশে ‘র’-এর সংখ্যা বেড়ে গেছে। দেশ থেকে ‘র’-কে প্রত্যাহার করতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনি আপনার বাবার ভালো গুণটা গ্রহণ করে অনতিবিলম্বে প্রকৃত জাতীয় ঐক্যের ডাক দিন। দয়া করে চাটুকারদের দ্বারা প্রভাবিত হবেন না।’
জেএসডির সভাপতি আ. স. ম আব্দুর রবের সভাপতিত্বে সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল, বাসদের সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, নাগরিক ঐক্যের কেন্দ্রীয় নেতা শহিদুল্লাহ কায়সার প্রমুখ।
পাঠকের মতামত: